জলহস্তীর কেন লোম নেই
একদিন খরগোশ নদীর ধারে হাঁটছিল।
জলহস্তীও সেখানে ছিল, সে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এবং কিছু সুন্দর কচি ঘাস খাচ্ছিল।
জলহস্তী খরগোশকে সেখানে দেখতে পায়নি এবং ভুল করে সে খরগোশের পায়ে পাড়া দিল। খরগোশ জলহস্তীকে চিৎকার করে বলল, "এইযে জলহস্তী! তুমি কি দেখতে পাচ্ছনা যে তুমি আমার পায়ে পাড়া দিয়েছ?"
জলহস্তী খরগোশের কাছে ক্ষমা চাইল, "আমি খুবই দুঃখিত। আমি তোমাকে দেখিনি। অনুগ্রহ করে আমাকে ক্ষমা করে দাও!" কিন্তু খরগোশ শুনলনা এবং জলহস্তীকে চিৎকার করে বলল, "তুমি এটি ইচ্ছা করে করেছ! একদিন তুমি দেখবে! তোমাকে এর মাশুল দিতে হবে!"
খরগোশ আগুনের খোঁজে গেল এবং বলল, "যাও, জলহস্তীকে জ্বালিয়ে দিবে যখন সে ঘাস খেতে পানি থেকে বেরিয়ে আসবে। সে আমাকে পাড়া দিয়েছে!" আগুন বলল, "কোন সমস্যা নেই, খরগোশ, আমার বন্ধু। তুমি যা বলবে আমি তাই করব।"
পরে যখন জলহস্তী নদী থেকে দূরে ঘাস খাচ্ছিল, তখন আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল। আগুনের শিখা জলহস্তীর লোম পোড়ান শুরু করল।
জলহস্তী কাঁদতে লাগল এবং পানির জন্য দৌড়ে গেল। তার সমস্ত লোম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। জলহস্তী কাঁদতে কাঁদতে বলল, "আমার লোম আগুনে পুড়ে গেছে! আমার সব লোম শেষ হয়ে গেছে! আমার সুন্দর লোম!"
খরগোশ খুশি হয়েছিল যে জলহস্তীর লোম পুড়ে গিয়েছে। এবং এখনও পর্যন্ত জলহস্তী আগুনের ভয়ে পানির থেকে দূরে যায় না।
This story is brought to you by the Global African Storybook Project, an effort to translate the stories of the African Storybook Project into all the languages of the world.
You can view the original story on the ASP website here
